শিরায় ছোটে ট্র্যাফিক, সারারাত্রিব্যাপী
তবু তোমার আসতে এত দেরি,
হিংসে আতসবাজি, সময় বড্ড ফাজিল
রক্ত দেখে বলে ব্লাডি মেরি।
শরীর ভাঙে জলে, লিটল ম্যাগের স্টলে
আদর ভাঙে নরম টিরামিসু,
বিষাদ ফিরি করে, একলা ফেরে ঘরে
লোকে বলে সে কলকাতার যিশু।
এই শহরে সইয়ে নিলে অনেক কিছু সয়
নোনতা চোখে মিথ্যে আলো,
ঠোঁটে মিঠে ভয়।
রাত বাড়লে কে জানে কী হয়।
বারুদ জমে গ্লাসে, আগুন ভালবাসে
পোড়ার সময় খুচরো দেখে নিও,
নেশায় তুরূপ তারা, পোশাক দিশেহারা
সময় যেন একা ডিক্যাপ্রিও।
কে আস্তিনে ছুরি, গোপন জারিজুরি
তোমার কাছে নালিশ লিখে রাখি,
বোতাম খোলা ছাদে, সেলাই পড়ে চাঁদে
জুয়ায় হারি জোচ্ছনা জোনাকি।
এই শহরে সইয়ে নিলে অনেক কিছু সয়
নোনতা চোখে মিথ্যে আলো,
ঠোঁটে মিঠে ভয়।
রাত বাড়লে কে জানে কী হয়।
তুমিও আসতে পারতে, বিকেলে মমার্তে
প্যাস্টেলেই আঁকা হতো সে ছবি,
সময় কাটা ঘুড়ি, নিখোঁজ হওয়া ট্যুরিস্ট
ভালবাসা বড্ড ক্লস্ট্রোফোবিক।
কৌটো ভ্রমর সন্ধি, অন দ্য রকস-এ মন দিই
রেশম খুঁজে মরে বৃষ্টি-বরফ,
দস্তানায় কী স্পর্শ, লক্ষ আলোকবর্ষ
সেরে গেছে গতজন্মের জ্বরও।
এই শহরে সইয়ে নিলে অনেক কিছু সয়
নোনতা চোখে মিথ্যে আলো,
ঠোঁটে মিঠে ভয়।
রাত বাড়লে কে জানে কী হয়
রাত বাড়লে কে জানে কী হয়।